মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২৩ অপরাহ্ন

মিটফোর্ড হাসপাতালের পকেট গেট খুলে দিতে কেরানীগঞ্জবাসীর আবেদন

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি:: স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের দক্ষিণ পাশে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরঘেঁষা পকেট গেটটি খুলে দিতে ঢাকা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন এলাকাবাসী।

রোববার দুপুরে ঢাকা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দপ্তরে আবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ জুলাই হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকের কাছে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে পিটিয়ে এবং ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে নিরাপত্তার স্বার্থে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ঘেঁষা পকেট ফটকটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়।

পরবর্তীতে এর প্রতিবাদে গত ৩১ জুলাই পকেট ফটকটি খুলে দেওয়ার দাবিতে পুরান ঢাকার বাবুবাজার ব্রীজ ঘাট এলাকায় খেয়া নৌকার মাঝি ও সেবা প্রত্যাশীরা মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ মিছিল করেন। মাঝিরা এক ঘণ্টা নৌকা চলাচল বন্ধ রেখে নদীর ঘাটে অবস্থান নেন।

কেরানীগঞ্জবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ জমা দেওয়া জিনজিরা মনু বেপারী ঢাল এলাকার বাসিন্দা শাহানেওয়াজ হোসেন বলেন, মিটফোর্ড হাসপাতালে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ হত্যাকাণ্ডের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেড়িবাঁধ সংলগ্ন পকেট ফটকটি বন্ধ করে দেয়। এ কারণে কেরানীগঞ্জ, দোহার, নবাবগঞ্জসহ নদীর ওপারের বিভিন্ন এলাকা থেকে খেয়া নৌকায় আসা শত শত রোগী, বৃদ্ধ, শিশু চরম দুর্ভোগে পড়ছেন। কেননা বুড়িগঙ্গা দ্বিতীয় সেতু ও কদমতলী এলাকায় প্রায়ই যানজট থাকে। ফলে জরুরি রোগী নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছাতে দীর্ঘ সময় লাগে। আগে এই ফটক খোলা থাকায় খুব সহজে রোগীদের হাসপাতালে আনা-নেওয়া করা যেত।

তিনি আরও বলেন, নাগরিকের মৌলিক অধিকার হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। সেই অধিকার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে জনস্বার্থে পকেট ফটকটি খুলে দেওয়া উচিত। এ ব্যাপারে ঢাকা জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত আবেদন করেছি। আশা করছি তারা জনগণের স্বার্থে ফটকটি খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।

ফটকটি বন্ধ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানান, হত্যাকাণ্ডের পর হাসপাতালের নিরাপত্তার স্বার্থে দক্ষিণ দিকের পকেট ফটকটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেবা প্রত্যাশীদের দুর্ভোগের বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে অবগত করা হয়েছে। আশা করি বিকল্প পথ সৃষ্টি করে মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করা হবে।

লিখিত আবেদনের বিষয়ে জানতে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিনাত ফৌজিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com